সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত মো. হৃদয়ের (২৭) লাশ আদালতের নির্দেশে তিন মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাববর হোসেনের উপস্থিতিতে সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ মিজমিজি পাইনাদী করবস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কর্তব্য কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সিদ্ধিরগঞ্জের আটিস্থ ভুমিপল্লীর সামনে পৌঁছলে গুলিবিদ্ধ হয়ে হৃদয় মারা যায়। পরে তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ মিজমিজি পাইনাদী করবস্থান দাফন করতে বাধ্য হয় স্বজনরা।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নিহত হৃদয়ের মা মোসা. রিতা বাদী হয়ে ১২ আগষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর উদ্দিন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদলসহ ১০ জনের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেক ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাববর হোসেন বলেন,সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নম্বর ১২(৮) ২৪ এরপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কবর থেকেহৃ দয়ের লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হৃদয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।