মোঃ আলী শেখ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণদী গ্রামের মরিয়ম বেগম কর্তৃক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে দায়েরকৃত মিথ্যা, বানোয়াট, মামলার ২নং আসামী তানিয়া বেগমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া বেগমের স্বজন ও এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানায়, তানিয়া বেগমের স্বামী লালচাঁন মাতুব্বর গত তিন বছর আগে ইতালী যান এবং তিনি বৈধতার কাগজ পত্রও পেয়ে গেছে। তিনি এখন ইতালীতে বৈধ ভাবেই বসবাস করছে। অথচ এজহারে উল্লেখ আছে লালচাঁন মাতুব্বর লিবিয়ায় অবস্থান করে দালালী করে।
লালচান মাতুব্বরের স্ত্রী তানিয়া বেগম তার দুটি শিশু সন্তান নিয়ে ঐ গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তাদের নিজস্ব কোন বাড়ি নাই।
গত বছর বাদী মরিয়ম বেগমের ছেলে নুর আমিন খালাসী লিবিয়া হয়ে ইতালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী ত্যাগ করেন। সে সময় তানিয়া বেগম নিজের নামে এন,জি ও থেকে পঞ্চাঁশ হাজার টাকা তুলে মরিয়ম বেগমকে ধার দেন তাকে সাহায্য করার জন্য। কিন্ত মরিয়ম বেগম আজ পর্যন্ত তানিয়া বেগমকে টাকা টা ফেরৎ দিতে পারেন নি। ইদানিং তানিয়া বেগম মরিয়ম বেগমের কাছে টাকা চাইতে গেলে মরিয়ম বেগম তানিয়া বেগমকে টাকা না দিয়ে বরং উলটা বিভিন্ন কায়দায় হুমকি দিয়ে ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মরিয়ম বেগম তার ছেলের দালাল কে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার রশিদ ইসু করে তানিয়া বেগমকে লিবিয়ার মাফিয়া অপবাদ দিয়ে মাদারীপুর কোর্টে একটি মানব পাচারের মামলা দায়ের করেন। এবং কয়েকদিন পর আরেকটা মামলা করে। অথচ মানব পাচার কিংবা টাকা পয়সা লেনদেনের সাথে কোন ভাবেই তানিয়া বেগম জড়িত নয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গ্রামবাসী আরো বলেন, তানিয়া বেগম সৎ নিষ্ঠাবান মহিলা তার বিরুদ্ধে যে অপোবাদ দেয়া হয়েছে, আমরা কোন মতেই তাহা বিশ্বাস করি না। এসময় এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে তানিয়া বেগমকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও বাকী আসামিদের হয়রানি না করার আহবান জানায় এবং এই মামলার সঠিক, সুস্থ তদন্ত করে দোষি দের শাস্তি দাবী করছে।