ব্যুরো প্রধান নারায়ণগঞ্জ
এ সময় তাঁর পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলমকেও ধারালো কোপে তার আঙ্গুলটিও কেটে গেছে শনিবার রাতে তারাবো পৌরসভার রূপসি বাগবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শামসুল আলমের অভিযোগ, চাঁদা না পেয়ে বিল্লাল হোসেন, কাউসার ও তাঁর অনুসারীরা এই ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন।
শামসুল আলম বলেন, কিছুদিন আগে বিল্লাল আমার ছেলের দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে রাতে বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তাঁরা বাড়ির প্রত্যেকটি রুমে ঢুকে ভাঙচুর করে অন্তত ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যান। পরে গ্রামের লোকজন ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দিলে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে ছাত্রলীগের লোকজন যেভাবে আসত, তেমনি করেই ওরা এল। হাতে লাঠিসোঁটা–রামদা ছিল। ওরা ভাঙচুর করে বাড়ির লোকজনকে মারধর করে। আছিয়া মোবাইলে ভিডিও করছিল। তাকেও মারল। পোয়াতি মাইয়া মানুষের ওপরে হাত তোলাটা ঠিক হয় নাই।’
ঘটনার অন্তত দুজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, লুটপাটের সময় হামলাকারীরা স্থানীয় লোকজনকে ভিডিও ও ছবি তোলায় বাঁধা দেন।
রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) রোকনুজ্জামান ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা করে লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে। এর আগেও শামীমের দোকানেও হামলা করে নগদ অর্থ লুটে নেন।